ভাঙাচোরা দিনের শেষে, আলোরা যখন প্রতিফলনের বস্তুর অভাবে দিশাহীন অন্ধ! সে ঘন কুহেলিকার চক্ষুপত্রে অতীত-ভবিষ্যতের সুদ-আসল মেলাতে ব্যস্ত থাকা অকেজো সংখ্যাগণক জুড়ে আদিম আ্যবাকাসের যান্ত্রিকতায় রচিত হতে থাকে সাহিত্যমণ্ডিত এক লেখনী যার প্রতিটি ইঞ্চি কেবল প্রেমের অলংকারে ভূষিত যেন এক কথা কন্যা! যার অঙ্গের শৃঙ্গার শুধুই অপেক্ষারত তার প্রিয়ের স্পর্শ লাভে। দুরত্বের আস্বাদনেও প্রেমিক বর্তমান সমগ্র মনের কানাগলিতে! অপেক্ষারা অষ্টপ্রহর দক্ষযজ্ঞের আয়োজনে রত! যেখানে একটুকরো আবেগ ভীষণ ভীষণ দামি!! যে প্রেমিকা ব্যর্থ! যে প্রেমিকা প্রেমের সংজ্ঞাহীনে আবদ্ধ! যে আবার মনের কথা ধ্বনিতে রুপান্তরিত করতে অসমর্থ! সেই!! কেবল সেই পারে, শব্দহীনতায় শুভ্র কাগজ জুড়ে প্রণয় আবদারগুলোকে আদালতের আসামি করে পেনের মোলায়েম আদরে হৃদয় কারাগারে বন্দী করতে, যেখানে ধ্বনিহীনতার ব্যর্থতা রচনা করে এক অসম্ভব মানসিক প্রকাশ যা কোনো উপন্যাসিকের কল্পনা স্তরের স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারকে ছিন্নভিন্ন করে পাড়ি জমায় দুরে আরও দুরে! বাসা গড়ে এক অন্য জগতে তার প্রেমিকের তরে! সে ঠিকানা বড় গোপনীয়, নিষেধ জারি তার ত্রিসীমানার কাঁটাতারে। প্রেমপ্রকাশে ব্যর্থ প্রেমিকা অভিমানি দিনের শেষে তার পুরুষের প্রতি ভালোবাসার সকল নিদর্শন সিন্ধু সভ্যতার ইতিহাসে মুড়ে মমির ন্যায় রক্ষণশীল আদর দিতে আবেগপরায়ণ।
লেখায় - স্নেহা মাইতি
0 Comments